Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সার্বজনীন ভূমিকা বা অবদান অনস্বীকার্য । তথ্যের সহজলভ্যতা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায্য করে । ডিজিটাল প্রযুক্তির ফলে কোন জিনিস সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায় বা যেকোন স্থান থেকে সেবা পাওয়া যায়, সেবাকে ভোক্তার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া যায় ফলে ব্যবসায়িক লেনদেনের মূল্য কমে যায় । উদ্ভাবনশীলতা, লেনদেনের মূল্যহ্রাস এবং সর্বোপরি প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রকারন্তরে বিনিয়োগ পরিবেশকে উন্নত করে যার ফলে সরকারি বেসরকারি উভয় খাতের কর্মদক্ষতা বেড়ে যায় ।
প্রযুক্তির এই অত্যাবশ্যক গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান সরকার ‘‘ভিশন ২০২১“ রূপকল্প প্রণয়ন করেছে যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এবং উচ্চ মানের অন্তুর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হয়েছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতার সাথে একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুগভীর সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
দেশের আর্থিক খাতের নিয়মত্রক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক বিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার তথা আর্থিক খাতকে পরিপূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড করতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার জন্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে । সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নিপুনতার সাথে সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে । এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ।
দেশে ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বার্থে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ই-টেন্ডারিং, ই-রিক্রুটমেন্ট, BEFTN, মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ব্যবস্থা ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । গত দু’বছর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম চালু করার জন্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ (BACH) গড়ে তোলা হয়েছে, যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা । গত ১৯ জুলাই তারিখে একটি স্বচ্ছ, ভোগান্তিবিহীন, নির্ভরযোগ্য এবং গতিশীল তথ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য তথা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বিকাশে ক্রমবর্ধমান ঋণ চাহিদা পূরণ করে সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করার প্রয়াসে সিআইবি অনলাইন করা হয়েছে । এতে বাংলাদেশের cost of doing business কমবে এবং সহজে ব্যবসা করার (business easing) সংস্কৃতির সম্প্রসারণেও এই উদ্যোগ একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে । তরুণ প্রজম্মের চাহিদা মাথায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি । আপনারা একটু আগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে virtual card এর কথা শুনেছেন । আমরা একইভাবে outsourcing তথা business processing এর কাজকে শহর ও গ্রামের তরুণ আইটি উদ্যোক্তা ও কর্মীদের জন্যে আমাদের ব্যাংকিং খাতের নিয়মত্রণে রেখে ‘Pay Pal’ এর এর মতো payment system চালু করার কথাও ভাবছি । ভারত যেমনটি করেছে আমরাও তা করতে পারি । ইতোমধ্যে গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে আমরা Help Desk চালু করেছি ।
আমাকে বলা হয়েছে যে, Bankers` CTO Forum তথ্য-প্রযুক্তি নেতৃবৃন্দের সাথে আর্থিক এবং ব্যাংকিং ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । এও শুনেছি এই ফোরাম আইটি পেশাজীবীদের একটি জ্ঞান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে । অর্জিত জ্ঞানের অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে এই কেন্দ্র আর্থিক খাতের আধুনিকায়নে বড় মানের অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছে । স্বদেশের ও বিদেশের প্রযুক্তি বিষয়ক best practice গুলো নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করা গেলে নিশ্চয় তাদের এ স্বপ্ন পূরণ সম্ভব । এভাবেই আমরা একদিন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক’ ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অর্জনে স্বপ্ন পূরণে সফল হবো । এ ধরনের প্রচেষ্টার সাফল্য অবশ্যই নির্ভর করবে স্টেকহোল্ডারদের এবং বিশদভাবে বলতে গেলে গোটা সমাজ, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন ভেন্ডর (বিক্রেতা), নীতি প্রণয়নকারী এবং অন্যান্যদের সদিচ্ছা এবং সামর্থ্যের ওপর । সাময়িক বিষয় সংশি-ষ্ট সমস্যাদি নিরসনে প্রয়োজনীয় প্রমাণনির্ভর তথ্য সরবরাহ করার জন্যে সকলের একসাথে কাজ করতে হবে । এভাবেই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সেবার উৎকর্ষতা ত্বরান্বিত হবে । আমি আশা করি, Bankers` CTO Forum তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং তথা সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে । ব্যাংকিং খাতে স্বদেশী সফট্ওয়্যার ও প্রয়োজনীয় IT solutions এর উন্নয়ন ও ব্যবহারের পরিবেশ নির্মাণে এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি । CTO Forum এর অগ্রযাত্রা সফল হোক । সংবাদ বিজ্ঞপ্তি