Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
সোনার মানুষ সম্মাননা ও রেমিট্যান্স উৎসব ২০১১
গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক এর বক্তব্য**
তারিখ ঃ ২৬ অক্টোবর ২০১১
সময় ঃ বিকাল ৩ঃ০০ ঘটিকা
স’ান ঃ বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র
আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই এই মহতী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে আন-রিকভাবে সাধুবাদ জানাই রামরু (জগগজট) কর্তৃপড়্গকে, যারা বিগত ১৫ বছর ধরে অভিবাসন এবং রেমিট্যান্স কর্যক্রমে শৃঙখলা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং কল্যাণমূলক ও উৎসাহব্যঞ্জক উদ্যোগ গ্রহণে জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সাথে আজ যারা সোনার মানুষ সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন তাঁদেরকেও আনত্মরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
০২। অভিবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম সি’তিশীল উৎস। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অভিবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দারিদ্র্য নিরসনেও সরাসরি গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি আমদানি অর্থায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়ন ও লেনদেন ভারসাম্যের সি’তিশীলতা অড়্গুণ্ন রাখার ক্ষেত্রেও অন্যতম অনুঘটক। সামপ্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক অসি’রতা সত্ত্বেও অর্থবছর ২০১০-১১ তে মোট রেমিট্যান্স এর পরিমাণ ছিল ১১৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ঐ বছরের আমদানি ব্যয়ের শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগ পূরণ করেছে। অর্থবছর ২০১১-১২ এর প্রথম ০৩ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৩৪% বেশি।
০৩। রেমিট্যান্স আহরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিরাট ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে উলেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা নিয়োগ, বিসতৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন দেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ড্রয়িং এরেঞ্জমেন্ট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবস’াপনা এবং সর্বোপরি প্রবাসী অভিবাসীদের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার জন্যেই ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আহরণে এ সাফল্য অর্জন করছে। সামপ্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলো মোবাইল ফোন ও স্মার্ট কার্ডভিিৈক ব্যয় সাশ্রয়ী কিছু আর্থিক সেবার প্রচলন করেছে। এ প্রযুক্তির আওতায় বিদেশ হতে প্রেরিত রেমিট্যান্স দ্রুততার সাথে ও নিরাপদে বেনিফিশিয়ারির নিকট প্েঁছানো সম্ভব হচেছ।
০৪। আমাদের রপ্তানিকৃত জনশক্তি র প্রায় ৪৫% দক্ষ এবং ৫৫% অদক্ষ। অদক্ষ শ্র্রমিকের আয়ের পরিমাণ কম। বেশি দক্ষ জনশক্তি বিশেষ করে মেধানির্ভর কাজে অধিকতর জনশক্তি রপ্তানি করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া, অদক্ষ জনশক্তিকে কারিগরী শিক্ষা তথা পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং সংশিস্নষ্ট দেশের ভাষা শিক্ষার ব্যবস’া করা হলে তা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ভূমিক রাখবে। নতুন নতুন বৈদেশিক শ্রমবাজার অন্বেষণ এবং বিদ্যমান শ্রমবাজারে প্রতিনিধিত্বের বিসত্মার ঘটিয়ে সেখানে জনশক্তি প্রেরণ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে সংশিস্নষ্ট সকল পড়্গের অধিকতর স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণ প্র্রক্রিয়া হতে শুরু করে বেনিফিশিয়ারীদের নিকট রেমিট্যান্স প্র্রেরণ সকল ক্ষেত্রেই ঝামেলা ও হয়রানিমুক্ত ভাবে তা সমপন্ন হয়।
০৫। প্রবাসীদের কল্যাণার্থে সরকার ‘ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’ নামে একটি পৃথক ব্যাংক স’াপন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিরাপদে, স্বল্প ব্যয়ে এবং কম সময়ে রেমিট্যান্স প্রেরণ নিশ্চিতকরণে যেমন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিচেছ, ঠিক তেমনিভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী এবং সুবিধাভোগীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনয়ন, রেমিট্যান্সের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা প্রদান, বিনিয়োগকৃত অর্থের উপযোগ টেকসইকরণ, সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিহতকরণ এবং রেমিট্যান্স সংক্রান- তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আরো উন্নত করতে বিভিন্ন পদেক্েষপ গ্র্রহণে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচেছ। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন জনসচেতনতা বৃদ্ধি র জন্যে রোড শো’র মতো ব্যতিক্রমী কর্মসূচির আয়োজন করছে তেমনিভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মতো আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধে আইনগত সংস্কার কাজও অব্যাহত রেখেছে।
০৬। আমরা জানি যে, কোন কিছুু অর্জন করতে হলে সর্বাগ্রে আমাদের মন বদলাতে হবে। দেশের স্বার্থে রেমিট্যান্স সংশিস্নষ্ট সকলেই যদি নিজেদের মন বদলাই এবং নিজ নিজ ভূমিকা পালনে আন-রিকভাবে সচেষ্ট হই, তাহলে বৈদেশিক সাহায্যমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে রেমিট্যান্স একটি প্রবল শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি আশা করি। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনামাফিক অর্থায়ন করলে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে, যা দেশের ভরহধহপরধষ রহপষঁংরড়হ ফৎরাব-কে আরও সুসংহত ও বেগবান করবে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকিং সংক্রান- নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সমস্যার কথা রামরম্ন আমাদেরকে জানিয়েছে। এ সম্মত বিষয়গুলো পরীক্ষা করে যথোপযুক্ত ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।
০৭। আজকে যারা ‘সোনার মানুষ’ পদক পেলেন তাঁদেরকে স্মরণ রাখতে হবে, এ সম্মাননার মাধ্যমে দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। আপনারা অন্যদেরকেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ এবং তার সুষ্ঠু বিনিয়োগে পরামর্শ প্রদান করবেন। বিদেশে কর্মড়্গেত্রে যে সমস্যাগুলো আপনাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে, নতুন অভিবাসীরা যেন সে সমস্যায় না পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্র্রহণ এবং প্রয়োজনে সংশিস্নষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করার জন্যে অনুরোধ জানাবো।
পরিশেষে, রামরম্ন কর্তৃৃক অভিবাসী, তাদের পরিবার ও সেবা প্রদানকারীগণকে সম্মাননা প্রদানের এ উদ্যোগকে আবারো সাধুবাদ জানাচিছ এবং সংশিস্নষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্ত ব্য শেষ করছি।