Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
গতকাল ২২ অক্টোবর ২০১১ মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ব্যংক গভর্নরের বক্তব্য: একটি দেশের সকল কার্যক্রমের মূল হাতিয়ার হলো মানব সমপদ। আর মানব সমপদ উন্নয়নের প্রথম সোপান হলো শিক্ষা। এজন্যে বর্তমান সরকার একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা তথা মানব সমপদ উন্নয়নকে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চিহিক্রত করেছে। আজকের তরম্নণ ছাত্র-ছাত্রীরাই আমাদের আগামী দিনের দেশ পরিচালক। আগামী বছরগুলোতে তারাই জ্ঞান, তথ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি র চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হবে। তাই তরম্নণদের মেধার যত্ন ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ একানত্ম প্রয়োজন। এ বিবেচনায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক বিগত কয়েক বছর ধরে সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষা খাতে বিশেষ করে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্যে আমার বক্তব্যের শুরম্নতেই ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপড়্গকে আনত্মরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সূচিত শিড়্গাবৃত্তির আওতায় বৃত্তিপ্রাপ্ত উপসি’ত ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদেরও আনত্মরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
০২। আপনারা জানেন, সরকার দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক নিরাপাৈ বেষ্টনীর (ংড়পরধষ ংধভবঃু হবঃ) আওতা বৃদ্ধি করতে যেয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ইত্যাদি খাতে ভাতার পরিমাণ এবং আওতা ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে। এটা অত্যন- আনন্দের বিষয় যে, সরকারের দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসৃজনে সহায়ক কর্মসূচিগুলোর পাশাপাশি একটি মানবিক ব্যাংকিং সেক্টর গড়ে তুলতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো অন্য ব্যাংকগুলোও শিক্ষা, স্বাস’্য, পুষ্টি, খেলাধূলা, দুর্যোগ ব্যবস’াপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবহেলিত ও অনগ্রসর এলাকার জনগণ, নারী উন্নয়ন, মহান মুক্তিযুদ্ধে র বীর শহীদদের পরিবারের কল্যাণ ইত্যাদি খাতে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সিএসআর কার্যক্রমে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ২০০৯ সালে যেখানে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সেখানে ২০১০ সালে ব্যয় করেছে ২৩৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্সানে সাড়া দিয়ে ব্যাংকগুলোর সিএসআর কার্যক্রমের এ প্রবৃদ্ধি সত্যিই প্রশংসনীয়। সিএসআর এর আওতায় শুধু শিড়্গা খাতেই ২০১০ সালে ব্যয় করা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা।
০৩। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগে ২০১১ সালে তৃতীয় পর্যায়ে এসএসসি পরীক্ষায় উীর্ৈণ হয়ে বর্তমানে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ৩০০৮ জন নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীকে আজ বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে ২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ৩০২৩ জন ছাত্র-ছাত্রীকে এবং ‘াতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ১৮৮৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। আমি জেনেছি, বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৯০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্মাান এবং এদের মধ্যে ৫০ শতাংশই ছাত্রী। আমি আরো জেনেছি যে, ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক ২০১৬ সাল এর পর থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে ছাত্র বৃত্তি দেয়ার এক বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ জন্যে তাদের বাৎসরিক ১০২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। আমার জানামতে শিক্ষা খাতে এ সংখ্যা একক ব্যাংকের অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ। তারা ইতোপূর্বে তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ সিএসআর কার্যক্রমে ব্যয় করেছে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্যে স’ানীয় উদ্যোক্তাগণ তাদের ২০১০ সালের জন্যে প্রাপ্য নগদ লভ্যাংশ গ্রহণ করেননি বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংক শিক্ষা খাতে ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সলের জুলাই পর্যন- বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ৬,৯১৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রায় ১৯ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করেছে। অর্থাৎ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় একটি নতুন ধারা বা ঃৎবহফ ংবঃঃবৎ হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি নানামুখী ঈঝজ পদড়্গেপ গ্রহণ করছে। বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকের এ মহতী উদ্যোগে আমি অভিভূত। একই সাথে আমি আশা করি যে, তাদের দৃষ্টান- অনুসরণ করে অন্য ব্যাংকগুলোও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে। বৃত্তি প্রদানের জন্যে যোগ্য তালিকা প্রণয়নে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এই যে সুচিনি-ত পমহা অবলম্বন করেছে, তা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত সহস্রাব্দ লড়্গ্য অর্জন কৌশলেরই সমার্থক। আমি আশা করি, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো অন্য ব্যাংকগুলোও এভাবে সুপরিকল্পিত কর্মকৌশল নিয়ে তাদের সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
০৪। ব্যাংকগুলো সার্বিকভাবে আর্থিক অনত্মর্ভুক্তি ও দ্রম্নততরভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে উচ্চ প্রত্যড়্গ ব্যয় ছাড়াও বঞ্চিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং অর্থনৈতিক খাতসমূহের সামাজিক ও আর্থিক অনত্মর্ভুক্তিসহ পরিবেশগত সচেতনতাকেও প্রাধান্য দিয়ে সিএসআর কর্মকান্ডে তাদের সংশিস্নষ্টতা বাড়িয়েছে। কিন’ ব্যাংকের অভ্যন-রীণ চর্চা এবং প্রক্রিয়ায় পরিবেশগত সচেতনতা এখনও যথেষ্ট মনোযোগ লাভ করেনি। ব্যাংকগুলো কার্বন ফুটপ্রিন্ট ট্রাকিং এবং কার্বন নিষ্ক্রিয়তার মতো লক্ষ্য নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে বিবেচনা করতে পারে, যা ইতোমধ্যে আন-র্জাতিক ব্যাংকগুলোতে মানসমপন্ন চর্চা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এছাড়া সিএসআর কার্যক্রম এখন আন-র্জাতিকভাবেই ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
০৫। পরিশেষে, আমি উপসি’ত শিক্ষার্থীদের বলতে চাই-তোমাদেরকে সঠিকভাবে পড়াশুনা করে দেশের সমপদে পরিণত হতে হবে। এই দেশকে দেয়ার মতো তোমাদের অনেক কিছু আছে। এই দেশ, দেশের মানুষ, দেশের পরিবেশ সর্বোপরি আন-র্জাতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও তোমাদের ভাবতে হবে। নৈতিকতা, মানবিকতার মতো বৈশিষ্ট্যগুলো নিজেদের জীবনে তোমরা সদা অনুশীলন করো, পরোপকারী হও, সর্বোপরি দেশ মাতৃকার সুসনত্মান হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোল। এই মহতী উদ্যোগের জন্যে আবারো ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিঃ এর সকল কর্মকর্তা/কর্মচারিবৃন্দকে আমার আনত্মরিক ধন্যবাদ এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।