Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
নিজস্ব প্রতিবেদক : মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির প্রতারণার ঘটনায় এদের মধ্যে রয়েছেন জাবি শিক্ষক, সাবেক ছাত্রনেতা, চিকিত্সক, ব্যাংকার ও চিকিত্সকসহ ৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল শুক্রবার সকালে সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এক ঘণ্টার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে কয়েকদিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মেডিক্যালের ভুয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ৬৫ জনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক ডা. মঞ্জুর আলম, ডা. আমিনুল ইসলাম, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ সিফায়েত উল্লাহ জানান, প্রশ্নপত্রসহ ছাপাখানার শ্রমিক গ্রেফতার এবং বৃহস্পতিবার রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের পর এ পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য সরকারের উপর মহল থেকে কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকসহ ১০১ সদস্যের এ কমিটি গতকাল ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম তদারকি করেন। পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো জানান, পরীক্ষা শুরুর আগেই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধারকৃত প্রশ্নপত্রটি মিলিয়ে দেখেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধারকৃত প্রশ্নপত্র দেড় মাস আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেল্থ টেকনোলজির ভিন্ন সেট প্রশ্নপত্র।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশ্নপত্র দেয়ার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এরপর দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব সদস্যরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, শাহবাগ, ফার্মগেট ও নিলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
ব্যার-৩ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই ও র্যাবের সদস্যরা গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল নেই। তবে এ চক্রগুলো রাতভর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, আটককৃৃতদের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসব ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে তারা খবর পায় একসেট প্রশ্ন সাত লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, মেডিক্যাল কলেজের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রংপুর ডিবি পুলিশ গতকাল শুক্রবার শহরের ধাপ শিমুলবাগ এলাকা থেকে ২ জনকে আটক করেছে। গ্রেফতারকৃরা হলেন ওমর ফারুক (২৫) ও পিয়ারের হাবিব (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার সময় আটককৃত দু’জন হাতে লেখা প্রশ্নপত্র দেখিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে। তবে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তির প্রশ্নপত্রের সাথে হাতে লেখা প্রশ্নপত্রের কোন মিল নেই।
উল্লেখ্য, এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো গত ২৩ সেপ্টেম্বর। সরকারি একটি ছাপাখানা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপনে প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় এক শ্রমিক ধরা পড়লে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন গুজবের মধ্যেই গতকাল সকালে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এ পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকার ক্রমানুশারে ভর্তি নেয়া হবে।