আলাউদ্দিন ছাত্রবৃত্তি ও অভিনন্দন পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান
গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক এর বক্তব্য

তারিখ    ঃ    ২৫ অক্টোবর ২০১১
সময়    ঃ    বিকাল ৫ঃ০০ ঘটিকা
স’ান    ঃ    দ্বিতীয় সংলগ্নী ভবন হল রূম
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লিঃ কতর্ৃূক আয়োজিত আজকের এই আলাউদ্দিন ছাত্রবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে আমার বক্তব্যের শুরম্নতেই সমিতি কর্তৃপড়্গকে আনত্মরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে বৃত্তিপ্রাপ্ত উপসি’ত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদেরও আনত্মরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
০২।    আপনারা সবাই জানেন, বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল উন্নয়নশীল দেশে টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি নিহিত রয়েছে তার মানব সমপদ উন্নয়নের মধ্যে। আর এই মানব সমপদ উন্নয়নের প্রথম সোপান হলো শিড়্গা। এজন্যে শিড়্গা খাতের উন্নয়নে সরকার বহুমুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সবার জন্যে শিড়্গা নিশ্চিচত করার ড়্গেত্রে শিড়্গার সকল পর্যায়ে প্রবেশাধিকার (ধপপবংং) খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। আজকে আপনারা সমিতির সদস্যদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের শিড়্গাবৃত্তি প্রদানের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা শিড়্গার সকল পর্যায়ে প্রবেশাধিকার নিশ্চিচতকরণ এবং একই সাথে একটি সুশৃঙখল জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনিমার্ণে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
০৩।    আমি জেনেছি যে, আপনারা ৩য় বারের মতো ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পরীড়্গায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ মোট ২৩২ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে প্রায় ০৮ লড়্গ টাকা বৃত্তি ও অভিনন্দনপত্র বিতরণ করবেন। পুরস্কারের মোট পরিমাণ এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি যা তরম্নণ শিড়্গার্থীদের মেধার লালন ও যত্ন, তাদের সৃষ্টিশীলতাকে অনুপ্রেরণা প্রদানে আপনাদের আনত্মরিকতারই বহিঃপ্রকাশ। মেধাবী অথচ সুযোগ বঞ্চিত শিড়্গার্থীগণ কোনভাবেই যেন উচ্চশিড়্গার সুযোগ বঞ্চিত না হয় সেটি লড়্গ্য রাখা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। এ ড়্গেত্রে আজকের বৃত্তি প্রদান কিছুটা হলেও সামাজিক দায়িত্ব পালনে ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
০৪।    বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, একটি দড়্গ, গতিশীল এবং মানবিক ব্যাংকিং সেক্টর গড়ে তোলার জন্যে বিগত দু’বছরে আপনারা অনেকগুলো পদড়্গেপ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে অপ্রতুল নজর পাওয়া খাতগুলোতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো, ব্যাংকগুলো কর্তৃক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ঝড়পরধষ জবংঢ়ড়হংরনরষরঃু বা ঈঝজ কার্যক্রমকে ব্যাংকের মূলধারায় নিয়ে আসা এবং সামগ্রিকভাবে আর্থিক অনত্মর্ভুক্তিকরণ (ভরহধহপরধষ রহপষঁংরড়হ) কর্মসূচি জোরদারকরণে আপনারা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। যার ফলশ্রম্নতিতে শিড়্গা, স্বাস’্য, পরিবেশের বিপর্যয় রোধ ও দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আগের চেয়ে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি আশা করি, আপনারা এ সমসত্ম পদড়্গেপগুলোকে ভবিষ্যতে আরো বেগবান করবেন। প্রসঙ্গক্রমে বলতে চাই, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটালাইজেশনে আমরা যে সমসত্ম পদড়্গেপ গ্রহণ করছি তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ ঋণদান সমিতিও তাদের কার্যক্রম অটোমেশনে এগিয়ে এসেছে। এজন্যে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
০৫।    পরিশেষে, আমি উপসি’ত শিড়্গার্থীদের বলতে চাই-তোমাদেরকে সঠিকভাবে পড়াশুনা করে দেশের সমপদে পরিণত হতে হবে। এই দেশকে দেয়ার মতো তোমাদের অনেক কিছুই আছে। এই দেশ, দেশের মানুষ, দেশের পরিবেশ সর্বোপরি আনত্মর্জাতিক প্রেড়্গাপট নিয়েও তোমাদের ভাবতে হবে। নৈতিকতা, মানবিকতার মতো বৈশিষ্ট্যগুলো নিজেদের জীবনে তোমরা সদা অনুশীলন করো, পরোপকারী হও, সর্বোপরি দেশ মাতৃকার সুসনত্মান হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলো। এই মহতী উদ্যোগের জন্যে আবারো সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে আমার আনত্মরিক ধন্যবাদ এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্ত ব্য শেষ করছি।