Plastic pollution: A serious threat to environment
— April 30, 2022Md. Arafat Raahman:Plastic pollution is the extraction of plastics by the environment which in turn has adverse effects on wildlife,…
চারদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ উদ্ভাবন হয়নি এখনো। তবে একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হচ্ছে, গরুর দুধ পানে কিছুটা হলেও ভালো হতে পারে করোনাভাইরাস।
গরুর দুধ পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয় এক খাদ্যপানীয় যা বহুকাল ধরেই মানুষের ভেতর প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই দুধ পানে মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি পায়। এই পুষ্টিই করোনায় শরীর ভালোর রাখতে সহায়তা করে বলে জানানো হয় ভাইরাল হওয়া এক ফেসবুক পোস্টে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুগ্ধ প্রজনন শিল্পের পেশাদারদের জন্য অনলাইন কমিউনিটি দ্য বুলভাইন। এই অনলাইন কমিউনিটির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এক গ্লাস দুধ পানে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। সেখানে বলা হয়, দুধ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত কারণ এটিতে ‘ল্যাকটোফেরিন’ থাকে। যা এক ধরনের প্রোটিন। আর এটিই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ভিটামিন সি ও জিংক; উভয়ই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফেসবুক পোস্টে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবে পোস্টটিকে এখন ফেসবুক ‘ভুয়া তথ্য’র ট্যাগ দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা বলা বিভ্রান্তিমূলক যে, দুধ পান করোনোভাইরাস প্রতিরোধ বা লড়াইয়ে সহায়তা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বর্তমানে কোনো ভ্যাকসিন নেই। করোনার অসুস্থতা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো এই ভাইরাসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সিডিসি বলছে, হাত ধুয়া, করোনায় অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলা, অসুস্থ বোধ করার সময় মুখোশ পরা, ঘন ঘন হাত দেওয়া হয় এমন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।
ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশন বলেছে, কোনো খাবার বা পরিপূরক, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে না। তবুও আমাদের ইমিউন ফাংশনকে শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট জরুরি এবং অনেক পুষ্টি উপাদান সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ভিটামিন সি ও জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিন্তু এগুলো দুধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেইরি কাউন্সিল (এনডিসি) বলছে, দুধকে ভিটামিন সি বা জিংকের ভালো উত্স বলা যেতে পারে না। তবে তারা জানিয়েছে, গরুর দুধে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ভিটামিন এ, ডি ও প্রোটিন রয়েছে। এগুলোও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গোন মেডিক্যাল সেন্টারের গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজিস্ট ডা. মার্ক পোচাপিন জানান, ‘ল্যাকটোফেরিন’ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এমনটা তিনি মনে করেন না। করোনা রুখতে হাত ধুয়া, মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
সূত্র: স্কাই নিউজ।