Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জনগণের সেবা, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণই আওয়ামী লীগ ও আমার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য’-এ মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সেই উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সেবা করার জন্যই আপনাদের পাশে আছি। রাজনীতিতে আমার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই, ধনসম্পদের প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই। আমি কখনো মৃত্যুকে ভয় করিনি। যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমি আমার পিতার মতো বুকের রক্ত দিতেও প্রস্তুত রয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ কিছু পায়, বাকিরা লুটে নেয়, পাচার করে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা নিজের জীবন উৎসর্গ করার এ ঘোষণা দেন।
দেশব্যাপী শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, শহীদ মিনার ও বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, শপথ গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত প্রভৃতি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকালে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি।
বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা; প্র্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে।
সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চত্বরে ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ ও আলোচনা সভা উপলক্ষে শেখ হাসিনা ৬২টি পায়রা ও ৬২টি বেলুন ওড়ান। সে সময় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা এবং সৈয়দ আশরাফ দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সমাবেশ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর পরই আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ছবি টাঙানো হয় এবং প্রধান প্রধান সড়কে দলটির নির্বাচনী প্রতীক নৌকাসংবলিত তোরণ নির্মাণ করা হয়।
আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা কাজ করে যাওয়া। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর তাঁর দল ছাড়া অন্য যেসব দল ক্ষমতায় গেছে, সবাই শুধু লুটপাট করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ কিছু পায়, বাকিরা লুটে নেয়, পাচার করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ পায় পুরস্কার। বিএনপি এলে পায় তিরস্কার।’
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই প্রতিষ্ঠালগ্নে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, এই উপমহাদেশে যতগুলো প্রবীণ দল আছে তাঁর মধ্যে আওয়ামী লীগ একটি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এ দলটি জনগণের সেবা করে যাচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলের হাল ধরেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এম আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।