Proposed budget seems to be a challenging one: BCI
— June 13, 2022Anwar-ul Alam Chowdhury (Parvez), President of Bangladesh Chamber of industries (BCI) said that the proposed budget seems to be challenging…
গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক এর সমাপনী বক্তব্য
তারিখ ঃ ১১ অক্টোবর ২০১১
সময় ঃ বিকাল ০৫:০০ ঘটিকা
স’ান ঃ হোটেল পূর্বাণী, ঢাকা।
আইবিবি কর্তৃক আয়োজিত বিগত ২০০৮ ও ২০০৯ সালের ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গায় কৃতি পরীড়্গার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরম্নতেই আমি আয়োজক আইবিবি ও পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃতি পরীড়্গার্থীদের আনত্মরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
০২। আধুনিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অনেকাংশেই মেধার ওপর নির্ভরশীল। ফলে, মানব সমপদ উন্নয়ন একটি ব্যাংকের কৌশলগত গুরম্নত্ব এবং সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। আর এ ধরনের জনবল গড়ে তোলার ড়্গেত্রে আইবিবি ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গা গ্রহণের মাধ্যমে একটি বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি, পরীড়্গার্থীদের ব্যাংকিং সমপর্কিত শিড়্গা প্রদানেরও ব্যবস’া করছে। সেই ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যাবধি আইবিবি দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে কর্মরত জনশক্তি র মাঝে পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি দড়্গ ও সুশিড়্গিত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, প্রতিষ্ঠার পর হতে আইবিবি এ পর্যনত্ম অর্ধ লড়্গের কাছাকাছি পরীড়্গার্থীকে ব্যাংকিং ডিপেস্নামা প্রদান করেছে যারা নিজ নিজ কর্মড়্গেত্রে দড়্গতা এবং সুনামের সাথে দেশের ব্যাংকিং সেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
০৩। বর্তমানে দ্রম্নত বিশ্বায়ন ও আনত্মর্জাতিকীকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি র উলেস্নখ্যযোগ্য উন্নয়নের কারণে আর্থিক খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভুত হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে একটি শক্তিশালী ভিিৈর ওপর দাঁড় করাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ড়্গেত্রে একটি সুশৃঙখল, শক্তিশালী ও আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস’ার কোন বিকল্প নেই। এই কাঙিড়্গত ব্যাংকিং ব্যবস’া গড়ে তুলতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি সুদড়্গ ও পর্যাপ্ত পেশাগত জ্ঞানসমপন্ন জনবল। আজকের নবীণ ব্যাংকারগণই আগামীতে ব্যাংকের নীতি নির্ধারণী ও পরিচালনামূলক কর্মকান্ডে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সে জন্যে ব্যাংকারদের পর্যাপ্ত পেশাগত জ্ঞান ও দড়্গতার প্রয়োজন। আইবিবির ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দড়্গতা অর্জন করতে হবে। অর্জিত জ্ঞান ও দড়্গতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ব্যাংকারদের হতে হবে অগ্রণী।
০৪। আপনারা জানেন, উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশেও আইবিবির মতো ব্যাংকার্স ইনস্টিটিউট রয়েছে। তারা বর্তমান বিশ্বের ব্যাংকিং ড়্গেত্রে পরিবর্তনের আলোকে তাদের দেশের ব্যাংকিং ব্যবস’াকে গড়ে তোলার লড়্গ্যে ব্যাংকিং পেশায় নিয়োজিত জনশক্তি র জ্ঞান ও দড়্গতা বৃদ্ধির লড়্গ্যে বিভিন্ন শিড়্গা কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে একটি গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এড়্গেত্রে আইবিবিও তার পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করেছে যা গত নভেম্বর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত পরীড়্গা থেকে কার্যকর করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, নতুন পাঠ্যক্রম গ্রহণের ফলে ডিপেস্নামা পরীড়্গার্থীগণ বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
চলমান পাতা/২
-২-
০৫। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আইবিবি ব্যাংকিং ডিপেস্নামার সাথে সঙ্গতি রেখে সকল বিষয়ের ওপর বই প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই তিনটি বই প্রকাশ করেছে। এছাড়া, পরীড়্গার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কোচিং ক্লাশের সংখ্যা এবং সময়ও বৃদ্ধি করেছে। আমরা মনে করি, এ সকল কার্যক্রম পরীড়্গার্থীদের জ্ঞান আহরণ ও ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গার ড়্গেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া, ইতোমধ্যে আইবিবি’র ওয়েবসাইট আপডেট করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে পরীড়্গার্থীগণ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে তাদের ফর্ম পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করি। এতে পরীড়্গার্থীদের সময় ও শ্রমের সাশ্রয় হবে। ইতোমধ্যে গত দেড় বছরে আইবিবি আনত্মর্জাতিক মানের তিনটি ষাম্মাসিক জার্নাল প্রকাশ করেছে এবং আরো একটি জার্নাল প্রকাশের অপেড়্গায় রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম অবশ্যই ব্যাংকারদের জন্যে সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করছি।
০৬। একটি দড়্গ ও গতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস’া গড়ে তোলাসহ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে আরো মানবিক, অংশগ্রহণমূলক, অনত্মর্ভুক্তি মূলক এবং জনহিতৈষী বৈশিষ্ট্যে রূপানত্মর করার জন্যে যে সমসত্ম পদড়্গেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার আলোকে ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গার পাঠ্যক্রমও নিয়ত পরিবর্তন করা দরকার বলে আমি মনে করি। এছাড়া, আর্থিক সেবা খাতের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্যে মানব মূলধন উন্নয়নের ড়্গেত্রে অধিকতর বিনিয়োগ এবং পেশাগত দড়্গতার অব্যাহত উন্নয়নকে (পড়হঃরহঁড়ঁং ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ) অধিকতর ক্েশলগত গুরম্নত্ব প্রদান করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আশা করি, আইবিবি এ ড়্গেত্রে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
০৭। আইবিবি’র ব্যাংকিং ডিপেস্নামা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীড়্গা। আজকে যারা পুরস্কার গ্রহণ করলেন তাঁদের এ সাফল্য আগামীতে অন্যদেরও পরীড়্গায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের ব্যাপারে উৎসাহ যোগাবে বলে আমি মনে করি। আমার প্রত্যাশা আপনাদের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে অন্য ব্যাংকারগণও ব্যাংকিং ডিপেস্নামা পরীড়্গায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও মননশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরা্নিত করবেন। পরিশেষে, এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্যে আইবিবিকে আবারো সাধুবাদ জানাচ্ছি।
সবাইকে ধন্যবাদ।