অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে হরতালের বিকল্প কর্মসূচী এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করুনঃ চিটাগাং চেম্বার সভাপতি
— July 9, 2011
দেশের প্রধান বিরোধীদলসহ কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক দল ৬ ও ৭ এবং ১০ ও ১১ জুলাই চারদিন হরতাল আহবান পরন্তু শুক্রবার ও শনিবার সরকারী ছুটিসহ মোট ৬দিন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হবে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি জনাব মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। এ প্রসংগে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- হরতাল আহবান যদিও প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য ধ্বংসাত্মক কোন কিছু সাধারণ জনগণ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল থেকে আশা করেন না। তিনি বলেন-হরতালের মত কর্মসূচী চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্য কার্যক্রম ব্যাহত ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি তথা শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আমদানিকৃত ভোগ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে ভোক্তা সাধারণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চেম্বার সভাপতি ঘন ঘন হরতালের কারণে রপ্তানী অর্ডারসমূহ বাতিল, বিদেশে বাজার হারানো, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা হারানো এবং দেশের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়ে সামগ্রিকভাবে দেশের ইমেজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে উল্লেখ করেন। চেম্বার সভাপতি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন- হরতালে দেশ প্রতিদিন প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
চেম্বার সভাপতি আরো বলেন- বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে মাথাপিছু আয় ৮৭৫ মার্কিন ডলার আয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ যখন মধ্যআয়ের দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে ঠিক তখনি অর্থনীতির জন্য এ ধরণের আত্মঘাতি কর্মসূচী দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এবং হরতালের কারণে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকান্ড চালানো সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে হরতাল আহবানকারী দলসমূহকে হরতালের বিকল্প কর্মসূচী প্রদান এবং সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে আরো উদার, বিবেচক এবং সমঝোতামূখী হওয়ার জন্য আহবান জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি